Wednesday, March 6, 2013

বিখ্যাতদের মজার ঘটনা


«¤»»»»টমাস আলভা এডিসন যখন টাংস্টেন তারের পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্বটি আবিষ্কার করেন তখন তার ল্যাবে ভীষণ ভীড়-ভাট্টা,সাংবাদিক,বন্ধুবান্ধবে গিজগিজ করছে ।বাল্বটি যখন প্রথমবারের মত জ্বলে উঠলো তখন সবাই আনন্দে হই হই করে উঠলো ।এবার এডিসন সাবধানে বাল্বটি খুলে তার চাকরের হাতে দিয়ে বললেন, “সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসো।” সাবধানে বলার কারণেই কিনা এডিসনের বেকুব চাকর পৃথিবীর প্রথম বাল্বটি তৎক্ষণাৎ হাত থেকে ফেলে ভেঙে চুরমার করে দিলো।আশেপাশের সবাই হায় হায় করে উঠলো ।সিটিয়ে গেল চাকরটি,শুধু এডিসন কিছু বললেন না।এর কিছুদিন পর দ্বিতীয়বারের মতো এডিসন বাল্বটি তৈরী করলেন ।বলা যায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক বাল্ব।এবারও তার ল্যাবে ভীড় আগের মতোই।এবারও বাল্বটি জ্বলে উঠলো সবাই আনন্দে হই হই করে উঠলো এবং এবারও এডিসন বাল্বটি সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসার জন্য তার চাকরকে ডাকলেন ।সবাই আঁৎকে উঠলো, “কি করছেন,কি করছেন,ঐ গাধাটা আবার বাল্বটা ভাঙবে,আপনি নিজ হাতে রেখে আসুন,নইলে আমাদের কারো হাতে দিন।এডিসন স্মিত হেসে বললেন-“ও যদি এবারও বাল্বটা ভাঙে সেটা আমি আবার তৈরী করতে পারবো কারণ এর ম্যাকানিজমটা আমার মাথায় আছে;কিন্তু প্রথম বাল্বটি ভাঙ্গার পর আমার চাকরের আত্মবিশ্বাস ভেঙে যে চুরমার হয়েছে সেটা জোড়া লাগাতে বাল্বটা এবারও তার হাতেই দিতে হবে”।চাকরটি অবশ্য বাল্বটি না ভেঙ্গে ঠিক জায়গায় রেখে আসতে পেরেছিলো।

১৭৯৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধরত ছিলেন নেপোলিয়ান বেনোপোর্ট।একদিন তিনি সহকারীদের বললেন,১২০০ তুর্কি বন্দীকে মুক্তি দিতে।কিন্তু আদেশ দেয়ার ওই মুহুর্তেই বেদম কাশি শুরু হয় তাঁর।বিরক্ত হয়ে বলেন,“মা সাকরি তাকস”(কি বিদঘুটে কাশি)।সহকারীরা ভুলে শুনলেন,“মাসাকরি তাওস”(হত্যা করো সবাইকে)।সেদিন সামান্য কয়েকটি শব্দের হেরফেরে প্রাণ গিয়েছিলো ১২০০ বন্দীর।
ঘটনা.দুই
দ্বিতীয় মোহাম্মদ সুলতান শা্হ(১৪৫১-১৪৮১) তুরষ্ক শাসন করার সময় নিষ্ঠুর রসিকতায় আনন্দ পেতেন। একদিন ভোজের সময় বাইরে তার ডাক পড়ল। ফিরে দেখেন তার থাবার জন্য রাখা আস্ত এক তরমুজ উধাও। তার সাথে ১৪ জন সভাসদ খাবার খাচ্ছিলেন। তারাও কিছু বলতে পারলেন না।নিষ্ঠুর সুলতান তখন দক্ষ শল্যবিদ ডেকে এনে সবার পেট কাটালেন । কিন্তু কারো পেটে তরমুজ পাওয়া গেল না্।তখন হাসতে হাসতে ক্ষমা চাইলেন নিষ্ঠুর রসিক সুলতান।
ঘটনা.তিন
২৬৩ খ্রিষ্টপূবার্ব্দে হাসতে হাসতে মারা গিয়েছিলেন বিখ্যাত গ্রীস কবি ফিলমোন।একদিন দুপুর বেলা খাবার খেতে এসে তিনি দেখেন তার থাবার একটি গাধা খেয়ে নিচ্ছে। ঘটনাটি দেখে তার বেদম হাসি পায় এবং গলায় খাবার আটকে গিয়ে তিনি মারা যান।
ফুল অ্যান্সার
«¤»»»»ছোট্ট ছেলেটির মন খারাপ।খুব বেশিই খারাপ।পরীক্ষায় একটি প্রশ্নের উত্তরে সে শূন্য পেয়েছে।প্রশ্নটি ছিলো এরকম- “ব্যারোমিটারের সাহায্যে একটি ভবনের উচ্চতা কীভাবে মাপা সম্ভব?” উত্তরটি তার জানা ছিলো না।তাই বলে তো আর প্রশ্ন ছেড়ে আসা যাবে না।মা বারবার বলে দিয়েছে ‘ফুল অ্যান্সার’ করে আসার জন্য।তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সে লিখেছিলো-“দড়ি বেঁধে ভবনের ছাদ থেকে ব্যারোমিটারটি নিচে ফেলে দিতে হবে।তাহলে ঐ দড়ির দৈর্ঘ্যই হবে ভবনের উচ্চতা”।শিক্ষক ঊত্তর দেখে খুশি তো হনইনি বরং ভেবেছেন ছেলেটি দুষ্টমি করে উত্তরটি লিখেছে,তাই তাকে ডেকে খাতাটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,“ধরে নিলাম উত্তরটা তুমি জানো,দ্বিতীয়বার তোমায় সুযোগ দিচ্ছি,চটপট উত্তরটা লিখে ফেল”।ছেলেটি ভাবলো,“এবার আর ভুল করা যাবে না”।তাই এবার সে লিখলো-“আমি ভবনের উপর থেকে নেমে এসে ভবনের অ্যাটেনডেন্টকে বলব,ভবনের প্রকৃত উচ্চতাটি বললে আমি তোমাকে এই ব্যারোমিটারটি উপহার দিবো,তখন সে বলে দিবে আর আমি জেনে নিবো”।এবার হয়েছে,এবার নম্বর না দিয়ে শিক্ষক যাবেন কোথায়?এই ভেবে মনে মনে এক চোট হেসে নিলো ছেলেটি।কিন্তু তার উত্তর দেখে এবার আর শিক্ষকও ভুল করলো না।দিয়ে দিলেন পুরো শূন্য(0)!
পদার্থবিজ্ঞানের প্রাশ্নে ভুল করলেও পরবর্তীতে সেই ছেলেটিই হয়ে ওঠে,“বোর পরমাণু মডেলের” জনক প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী নীলস বোর ।।
তোষামোদ
«¤»»»দার্শনিক ডায়োজেনিসের আমলে যিনি রাজা ছিলেন, তাঁর নাম ডেনিস। রাজাকে তোষামোদ করতেন না বলে ডায়োজেনিসের জীবন ছিল অত্যন্ত ভোগবিলাসহীন। জীবনযাপন করতেন একেবারে সাধারণ মানুষের মতো। কিন্তু তাঁর সমসাময়িক অ্যারিস্টিপাস নামের আরেক দার্শনিক রাজাকে তোষামোদ করতেন বলে মালিক হয়েছিলেন প্রচুর বিত্তবৈভবের। একদিন খাওয়ার সময় ডায়োজেনিসকে শুধু শাক দিয়ে রুটি খেতে দেখে অ্যারিস্টিপাস ব্যঙ্গ করে বললেন, ‘আপনি যদি রাজাকে তোষামোদ করে চলতেন, তাহলে আজ আর আপনাকে শুধু শাক দিয়ে রুটি খেতে হতো না।’
জবাবে ডায়োজেনিস হেসে বললেন, ‘আর আপনি যদি শাক দিয়ে রুটি খাওয়া শিখতেন, তাহলে আজ আর আপনার রাজাকে তোষামোদ করে চলতে হতো না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বাছ বিচারহীন সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি এ প্রসঙ্গে একটি গল্প শোনাতেন। গল্পটি এ রকম—একদিন এক নৈশভোজে অতিসাধারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হলো আমার, যিনি তিন তিনটে সম্মানসূচক ডিগ্রির অধিকারী। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে আমার এক বন্ধু জানাল, তাঁকে তৃতীয় ডিগ্রিটি দেওয়া হয়েছিল কারণ তাঁর দুটো ডিগ্রি আছে। দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়েছিল, কারণ ইতিমধ্যেই তাঁর একটা ডিগ্রি আছে। আর প্রথমটা দেওয়া হয়েছিল তাঁর একটাও ডিগ্রি ছিল না বলে !
ক্যালিফোর্নিয়ার প্রখ্যাত এক মেডিসিনের প্রফেসর একবার ক্লাস নেওয়ার সময় মেডিকেল ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেনঃ
“ধরো বাবা ভুগছেন সিফিলিস রোগে,মা যক্ষা রোগে,এ পর্যন্ত তাদের চারটি ছেলেমেয়ে হয়েছে।প্রথমটি অন্ধ,দ্বিতীয়টি মৃত,তৃতীয়টি কানে শোনে না এবং চতুর্থটি যক্ষা রুগী।মা আবার সন্তানসম্ভবা,সেই মুহুর্তে ঐ দম্পতি তোমাদের কাছে আসলো পরামর্শের জন্য,তোমরা তাদের কি পরামর্শ দেবে?”এবার ছাত্ররা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে আলোচনা করে তাদের সিদ্ধান্ত প্রফেসর কে জানালো।প্রতিটি গ্রুপই বললো,মহিলার অবশ্যই গর্ভপাত করানো উচিত।সেটা মায়ের জন্য ভালো হবে।তখন প্রফেসর সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,“অভিনন্দন তোমাদের,তোমরা এইমাত্র সুরসম্রাট বিটোফেনের জীবনটা নিয়ে নিলে!”
===»»» বোঝার ভুল «««===
ঘটনা.এক
মরিস সাহেব ছিলেন শান্তিনিকেতনে ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার অধ্যাপক। একা থাকলে তিনি প্রায়ই গুনগুন করে গান গাইতেন। একদিন তিনি তৎকালীন ছাত্র প্রমথনাথ বিশীকে বললেন, জানো গুরুদেব(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) চিনির ওপর একটি গান লিখেছেন, গানটি বড়ই মিষ্টি।’ প্রমথনাথ বিশী বিস্মিত হয়ে বললেন, “কোন গানটা?তার আগে বলুন, এই ব্যাখ্যা আপনি কোথায় পেলেন?”
উত্তরে মরিস সাহেব জানালেন, ‘কেন, স্বয়ং গুরুদেবই তো আমাকে এটা বলে দিয়েছেন।’
অতঃপর তিনি গানটি গাইতে লাগলেন, ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী, তুমি থাকো সিন্ধুপারে…।’প্রমথনাথ বিশী মুচকি হেসে বললেন,তা গুরুদেব কিন্তু ঠিকই বলেছেন, চিনির গান তো মিষ্টি হবেই”।
ঘটনা.দুই
ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের কোন এক সময় কবি সুকুমার রঞ্জন আর মুজাফফর আহমদ বসে গল্প করছিলেন আর কাছেই বসে অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে কবিতা লিখছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।কিছু সময়ের মধ্যেই লেখা হয়ে যায় তাঁর বিখ্যাত “ভাঙার গান” কবিতাটি।সুকুমার রঞ্জন আর মুজাফফর আহমদ দু’জনেই কবিতাটির অসম্ভব প্রশংসা করলেন।কিন্তু সমস্যা বাঁধলো গাইতে গিয়ে।জেলখানায় গানটি গাওয়ার সময় বন্দীরা ভীষণ ক্ষেপে গিয়েছিলো।কারণ গানটির একটি লাইন ‘যতসব বন্দীশালায় আগুন জ্বালা’ বলায় বন্দীরা ভেবেছিলো তাদের শালা বলে গাল দেয়া হয়েছে।অবশ্য পরে তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ভুল ভাঙানো হয়।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন গেছেন ময়মনসিংহে তাঁর গ্রামের বাড়ি বেড়াতে।গ্রামের এক মুরব্বি দেখা করতে এসে জয়নুলকে বললেন, “কিরে তুই নাকি বড় শিল্পী হইছস?দে তো আমার ছাতিটায় নাম লেইখ্যা?”জয়নুল আবেদীন খুব যত্ন করে এবং সময় নিয়ে ছাতায় নাম লিখে দিলেন।প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা রাষ্ট্র হয়ে গেল গ্রামময়।ব্যস,আর যায় কোথায়,গ্রামের প্রায় সবাই যার যার ছাতা নিয়ে হাজির।আর শিল্পাচার্য কি করবেন,অসীম ধৈর্যের সাথে প্রায় সবার ছাতাতেই নাম লিখে দিয়েছিলেন সেবার।
সন্ধ্যা রাতে বাতী জ্বালিয়ে বই পড়ছে ছেলেটি।হঠাৎ তেলের অভাবে কুপিটি গেল নিভে।ছেলেটি তো চিন্তায় পড়ে গেল।কি করবে এখন।এমন সময় সে দেখতে পেল একজন প্রতিবেশীর রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে কিছু আলো বেরিয়ে আসছে।ছেলেটি করলো কি,সঙ্গে সঙ্গে বইটি নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সেই আলোকিত জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে একমনে বইটি পড়তে লাগলো।এমন সময় সেই ঘরের কর্ত্রী জানালা দিয়ে কিছু গরম পানি বাইরে ফেললেন।আর অমনি এক আর্ত চিৎকার।চিৎকার শুনে সবাই ছুটে এলো।দেখলো ছেলেটির শরীরে গরম পানি পড়েছে আর ছেলেটি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।এটা দেখে সবাই যেমন আশ্চর্য হলো তেমনি মর্মাহতও হলো।গৃহকর্ত্রী ছেলেটির গায়ে ঐষধ লাগিয়ে দিয়ে বললেন, “বাছা তোমার পড়াশুনার জন্য যত তেলের দরকার,সব খরচ আজ থেকে আমি দেব।তুমি লেখাপড়া চালিয়ে যাও।লেখাপড়া করে অনেক বড় হও”।
হ্যাঁ, ছেলেটি অনেক বড় হয়েছিল।তাঁর রচিত নাতে রসূল-
“বালাগাল ওয়ালা বে কামালেহী
কাশাফাদ্দোজা বে জামালেহী
হাছানাত জামিয়ো খেছালেহী
ছাল্লু আলায়হে অ-আলেহী”।
মিলাদ মাহফীলে আমরা সবাই পাঠ করি।ছেলেটি আর কেউ নয়,তিনি পারস্য কবি শেখ সাদী(1175-1291)।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই নাতে রাসূলটি শেখ সাদী পেয়েছিলেন স্বপ্ন যোগে
▬▬►মহৌষধ
«¤»»»»জর্জ বার্নাড শ প্রায় সত্তর বছর পর্যন্ত মাথা ব্যাথায় ভুগেছিলেন।এ ব্যাপারে শ’ উত্তর মেরুর আবিষ্কারক নানসেন কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন:আচ্ছা আপনি মাথা ধরার কোন ঔষধ আবিষ্কার করেছেন কি?
নানসেন তো অবাক।তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, “না তো!” শ’ তখন বললেন, “কি আশ্চার্য্য!উত্তর মেরু আবিষ্কারের জন্য সারাজীবন কাটালেন!অথচ পৃথিবীর কাছে তার মূল্য দু পয়সাও নয়।আপনি মাথা ধরার কোন ঔষধ আবিষ্কারের চেষ্টাও করেননি;অথচ পৃথিবীর সমগ্র মানুষ এই মহৌষধের জন্য কেঁদে কেটে আকুল”।
জওহরলাল নেহরু যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন ক্রুশ্চেভ এসেছিলেনন ভারত সফরে।নেহেরু ক্রশ্চেভকে নিয়ে পার্টি অফিসে সংবধর্নায় যোগদান করতে বের হলেন।হঠাৎ দূর থেকে রাস্তার পাশে এক ব্যাক্তিকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে ক্রুশ্চেভ মন্তব্য করলেন,“ইন্ডিয়ানরা দেখি একেবারে অসভ্য,রাস্তায় দাঁড়িয়েই প্রকৃতির সাড়া দিচ্ছে”।নেহেরু এতে দারুণ অপ্রস্তুত হলেন এবং প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগলেন।কিন্তু সেবার আর সে সুযোগ এল না।
এরপর নেহেরু গেলেন মস্কোয়।ক্রুশ্চেভ তাঁকে নিয়ে “মস্কো বেল” দেখাতে বের হলেন।অপ্রত্যাশিত ভাবে এবার নেহেরু সুযোগ পেয়ে গেলেন।রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক ব্যাক্তি প্রস্রাব করছিলো।কিছু না বলে নেহেরু শুধু ক্রুশ্চেভের দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসতে লাগলেন।ক্রুশ্চেভ অত্যন্ত বিরক্ত হলেন।লোকটি কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কে তুমি?লোকটা বিনীতভাবে বলল, “স্যার,আমি ইন্ডিয়ান এম্বেসীর একজন কর্মচারী!”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন বাছ বিচারহীন সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতেন। তিনি এ প্রসঙ্গে একটি গল্প শোনাতেন। গল্পটি এ রকম—একদিন এক নৈশভোজে অতিসাধারণ এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হলো আমার, যিনি তিন তিনটে সম্মানসূচক ডিগ্রির অধিকারী। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে আমার এক বন্ধু জানাল, তাঁকে তৃতীয় ডিগ্রিটি দেওয়া হয়েছিল কারণ তাঁর দুটো ডিগ্রি আছে। দ্বিতীয়টি দেওয়া হয়েছিল, কারণ ইতিমধ্যেই তাঁর একটা ডিগ্রি আছে। আর প্রথমটা দেওয়া হয়েছিল তাঁর একটাও ডিগ্রি ছিল না বলে !
মহৌষধ
«¤»»»»জর্জ বার্নাড শ প্রায় সত্তর বছর পর্যন্ত মাথা ব্যাথায় ভুগেছিলেন।এ ব্যাপারে শ’ উত্তর মেরুর আবিষ্কারক নানসেন কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন:আচ্ছা আপনি মাথা ধরার কোন ঔষধ আবিষ্কার করেছেন কি?
নানসেন তো অবাক।তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, “না তো!” শ’ তখন বললেন, “কি আশ্চার্য্য!উত্তর মেরু আবিষ্কারের জন্য সারাজীবন কাটালেন!অথচ পৃথিবীর কাছে তার মূল্য দু পয়সাও নয়।আপনি মাথা ধরার কোন ঔষধ আবিষ্কারের চেষ্টাও করেননি;অথচ পৃথিবীর সমগ্র মানুষ এই মহৌষধের জন্য কেঁদে কেটে আকুল”।
এক পয়সার বাঘ
«¤»»»»ছেলেবেলায় শরৎচন্দ্র একবার তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে বাঘ দেখতে রথের মেলায় গিয়েছিলেন।মেলার একটা ফাঁকা জায়গা ত্রিপল দিয়ে ঘেরা এক পাশে একটা ছোট গেট।গেটের সামনে টুলের উপর বসে একটা লোক চিৎকার করে ডাকছে,এক পয়সায় বাঘ দেখে যান বাবু,দি রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
বাঘ দেখার জন্য সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।বেশ বড় লাইন।এক পয়সা দিয়ে একজন করে ভিতরে ঢুকছে,সে দেখে ফিরে এসে আরেকজনকে ঢুকতে দিচ্ছে।শরৎচন্দ্র বন্ধুদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলেন।গেটে পয়সা দিয়ে ঢুকবার সময় যে লোকটা বাঘ দেখে বেরিয়ে আসছিল তাকে বললেন,কী মশায় বাঘ কেমন দেখলেন?
লোকটা কিছু বলল না,চুপ করে সরে পড়ল।মনে মনে বললেন,না বলুক,এখনই তো দেখব।ভিতরে ঢুকে গেলেন তিনি।ঢুকে তো অবাক।বাঘের নাম গন্ধও নেই।চারদিকে ফাঁকা,এক জায়গায় শুধু একটা লোক হাঁড়ির ভেতরে মুখ ঢুকিয়ে মাঝে মাঝে বাঘের গর্জন করছে।লোকটার পাশে ছোট্ট একটা তারের খাঁচার মধ্যে হাতে তৈরী একটা বিড়াল,গায়ে ডোরাকাটা দাগ।শরৎচন্দ্র ক্ষেপে গিয়ে যখন দু’কথা শুনিয়ে দিবেন ভাবছেন তখনই লোকটা হাঁড়ি থেকে উঠে মাথা বের করে এল।এসেই শরৎচন্দ্রের পা জড়িয়ে ধরে কাদতে কাঁদতে বলল,বাবু দয়া করে কিছু বলবেন না।বাড়িতে পনের ষোল জন ছেলে-মেয়ে।দু’ভাইয়ে এই করে আধপেটা খেয়ে বেঁচে আছি।ধরিয়ে দিলে না খেয়ে মারা যাবো শরৎচন্দ্র বেরিয়ে এলেন।বাইরের অপেক্ষমাণ লোকজন জিজ্ঞেস করলো,কী মশায় কেমন দেখলেন?শরৎচন্দ্র চুপ করে সরে পড়লেন।
হামদর্দ এর প্রতিষ্ঠিাতা হেকিম আজমল খানের চিকিৎসক হিসেবে খুবই খ্যাতি ছিল। প্রসিদ্ধি আছে রোগীকে না দেখে তার প্রস্রাব দেখেই রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্হাপত্রnদিতে পারতেন তিনি এবং রোগী ভালো হয়ে যেত। তাঁর এ ক্ষমতায় অবিশ্বাসী এক ইংরেজ সাহেব একবার তাঁকে বাজিয়ে দেখার জন্য নিজের প্রস্রাব না পাঠিয়ে উটের প্রস্রাব পাঠিয়ে দিলেন। হেকিম সাহেব প্রস্রাব দেখে ব্যবস্হাপত্রে লিখলেন,“এ প্রস্রাব যার তাকে আরো বেশি করে খড় আর ভুসি খেতে হবে”!
ঈশ্বর ভক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় এক ধর্মযাজক কথা প্রসঙ্গে আব্রাহাম লিংকনকে বলেছিলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আসুন, আমরা বিশ্বাস রাখি এবং প্রার্থনা করি যে এই দুঃসময়ে মহান ঈশ্বর আমাদের পক্ষে থাকবেন।’ প্রতি-উত্তরে লিংকন একটু ভেবে নিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, ‘আপনি যাই বলুন না কেন,ঈশ্বর নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। কারণ আমি একথা জানি যে ঈশ্বর সব সময় ন্যায় ও সত্যের পক্ষেই থাকেন। এর চেয়ে বরং আসুন, আমরা সবাই প্রার্থনা করি, এই জাতিটা যেন সব সময় ঈশ্বরের পক্ষে থাকতে পারে।’
বক্তা হিসাবে মার্কটোয়েন(“দ্যা অ্যাডভেঞ্চার অফ টম সয়্যার” এবং “দ্যা অ্যাডভেঞ্চার অফ হাকল বেরি ফিন” খ্যাত জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক)তখনও বিখ্যাত হননি। স্টেজে দাঁড়িয়ে লোকদের মনোমুগ্ধ করার মতো যাদু কলাকৌশল তখনও তিনি রপ্ত করতে পারেননি। সেই সময় দূরে এক শহর হতে তিনি বক্তৃতা দেয়ার আমন্ত্রণ পেলেন। ঐ শহরের শ্রোতাদের একটি বদনাম ছিল কেউ ভাল বক্তৃতা দিতে না পারলে তারা পঁচা ডিম ছুড়তো। মার্কটোয়েন তাই লোকদের হালচাল বুঝতে ভয়ে ভয়ে বাজারে গেলেন । সেখানে এক দোকান থেকে ফিসফিসিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ‘মশাই, শহরে নাকি আজ এক নামজাদা বক্তা বক্তৃতা রাখবেন ?দোকানী তার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললো -শুনেছি বটে ,তবে বক্তাকে আমি চিনিনা বা তার নাম কি তাও আমি জানি না। মার্ক আশ্চর্য হয়ে বললো- সেকি ! আপনার খদ্দেররাও কি তার নাম জানে না। দোকানী এবার যেন একটু মনোযোগী হয়ে বললো – হ্যাঁ , বোধহয় তারা জানে , আর তাই তো যারা আজ টাউন হলে বক্তৃতা শুনতে যাবে তারা আমার দোকানের সব পঁচা ডিমগুলি কিনে নিয়ে গেছে। মার্ক রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে বললো -কেন ? কেন ? দোকানী মুচকি হেসে বললো -কেন আবার!
plz like ভালো বক্তৃতা দিতে না পারলে বক্তার চেহারা রাঙিয়ে দেয়ার জন্য।সেদিন মার্ক তার ভাগে ঠিক কতটি পঁচা ডিম পেয়েছিল জানা যায়নি (এটা কেউ বলে নাকি ?) তবে সেদিনের শিক্ষা নিয়ে তিনি উত্তরকালে একজন জগৎবিখ্যাত বক্তা হতে পেরেছিলেন ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর খদ্দরের চাদর পরতেন।শীত বা গ্রীষ্ম যাই হোক না কেন গায়ে শুধু চাদর আর কাঠের খড়ম পরেই সংস্কৃত কলেজে ক্লাস নিতে যেতেন।মাঘ মাসের শীতের সময় প্রতিদিন সকালে এভাবে ঈশ্বর চন্দ্রকে ক্লাস নিতে যেতে দেখে প্রায়ই হিন্দু কলেজের এক ইংরেজ সাহেব যাওয়ার পথে বিদ্যাসাগরকে ক্ষ্যাপানোর জন্য বলতেন,“কি হে,বিদ্যার সাগর,বিদ্যার ভারে বুঝি ঠান্ডা লাগে না তোমার?” বিদ্যাসাগর প্রতিদিন কথা শুনতেন,কিন্তু কিছু বলতেন না। একদিন শীতের সকালে ঠিক একইভাবে তিনি ক্লাস নিতে যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে আবার সেই ইংরেজের সাথে দেখা।আবার সেই একই প্রশ্ন।এবার সঙ্গে সঙ্গে ঈশ্বর চন্দ্র তার ট্যামর থেকে একটা কয়েন বের করে বললেন,“ এই যে গুজে রেখেছি, পয়সার গরমে আর ঠান্ডা লাগেনা।এবার হলো তো?”
বিখ্যাত ইংরেজ কবি সমালোচক জন ড্রাইডেন প্রায় সারাক্ষণই পড়াশোনা আর সাহিত্যচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন; স্ত্রীর প্রতি খুব একটা মনোযোগ দিতেন না। একদিন স্ত্রী লেডি এলিজাবেথ তাঁর পড়ার ঘরে ঢুকে রেগে গিয়ে বললেন, ‘তুমি সারা দিন যেভাবে বইয়ের ওপর মুখ গুঁজে পড়ে থাকো তাতে মনে হয় তোমার স্ত্রী না হয়ে বই হলে বোধ হয় তোমার সান্নিধ্য একটু বেশি পেতাম।
ড্রাইডেন বইয়ের ওপর মুখে গুঁজে রেখেই বললেন, ‘সে ক্ষেত্রে বর্ষপঞ্জি হয়ো, বছর শেষে বদলে নিতে পারব!’
হাওড়া জেলা স্কুলের একটা ক্লাস রুম।একটু বেঁটে খাটো,স্বাস্হ্য ভালো এক ছেলে এসে ক্লাসে ঢুকলো।এত গরমের ভেতরেও গায়ে কোট চাপানো।এমনিতেই একটু মোটাসোটা ।আজকে আরো বেঢপ হয়েছে দেখতে।ছেলেরা হাসাহাসি শুরু করেছে।অথচ ছেলেটি চিন্তামগ্ন।আজ তার বুকটা ভয়ে ঢিব ঢিব করছে।কখন ডাক আসবে স্যারের।তারপর পিটুনী।কারণ গতকাল যাদের সে মেরেছিল তারা নিশ্চয় নালিশ জানিয়েছে শিক্ষকের কাছে।অবশেষে ডাক এলো।শিক্ষক তাকে যতই প্রশ্ন করেন ততই ছেলেটা গুটিয়ে ফেলে নিজেকে,কোন জবাব দেয় না।শিক্ষক রেগে গেলেন। গায়ের কোট ধরে টান মারলেন।অবাক কান্ড!বেরিয়ে এলো শাড়ী।সারা গায়ে জড়ানো।তার উপর শার্ট।শার্টের উপর এই কোর্ট।হাসির রোল বয়ে গেল সারা ক্লাসে।স্যার আর কি বিচার করবেন তিনিও হেসে ফেললেন ছেলেটির কান্ড দেখে,ছেড়ে দিলেন তাকে।এই ছোট্ট ছ্লেটি আর কেউ নয়,তিনি হলেন ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
জর্জ বার্নার্ড শ’র বাড়িতে বেড়াতে এসে এক মহিলা অবাক হয়েবললেন, ‘মিস্টার শ, আপনার ঘরে দেখছি একটাও ফুলদানি নেই। আমি ভেবেছিলাম, আপনি এত বড় একজন লেখক; আপনি নিশ্চয়ই ফুল ভালোবাসেন। তাই আপনার বাসার ফুলদানিতে বাগানের তাজা, সুন্দর ফুল শোভা পাবে।’
প্রত্যুত্তরে শ সঙ্গে সঙ্গেই বললেন, ‘ম্যাডাম, আমি বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরকেও ভালোবাসি। তার অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের মাথা কেটে ন…িয়ে এসে ঘরে সাজিয়ে রাখব।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অর্থিক অনটনের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনাকে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। একদিন এক মাতাল উনার কাছে সাহায্য চাইতে এলে বিদ্যাসাগর বললেন-আমি কোন মাতালকে সাহায্য করি না।
কিন্তু আপনি যে মধুসুদনকে সাহায্য করেন তিনিওতো মদ খান-মাতালের উত্তর।
বিদ্যাসাগর উত্তর দেন -ঠিক আছে আমিও তোমাকে মধুসূদনের মত সাহায্য করতে রাজী আছি তবে তুমি তার আগে একটি “মেঘনাদ বধ” কাব্য লিখে আন দেখি?
স্তালিনের পর ক্রেমলিনের ক্ষমতায় এসেছেন ক্রুশ্চেভ। পার্টির এক অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি স্তালিনের শাসনামলের বর্ণনা দিচ্ছিলেন। তাঁর অত্যাচারের বর্ণনা শুনে একজন চেঁচিয়ে বললেন, ‘তখন আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কেন কোনো কথা বলেননি?’
ক্রুশ্চেভ গর্জে উঠলেন, ‘কে, কে বলল কথাটা? কার এমন বুকের পাটা?’ কোনো উত্তর এল না।
প্রশ্নকর্তা ভিড়ের মধ্যে মাথা গুঁজে ফেললেন।
ক্রুশ্চেভ মুচকি হেসে বললেন, ‘বুঝলে তো কেন আমি সেদিন কথা বলিনি?’
পরমানু মডেলের জনক নীলস বোর এমনিতেই ছিলেন খুব শান্ত শিষ্ট মানুষ । এটা তার ছেলে বেলার ঘটনা।স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা চলছে । তার মা তাকে নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। ছেলেটা পরীক্ষা কেমন দিচ্ছে তা কোন দিনই বলেনা। তাই পরীক্ষা থেকে ফিরে এলে মা প্রতিবারই প্রশ্ন করে “কেমন পরীক্ষা দিয়েছ নীলস বোর”। নীলস বোরের বিরক্তমুখে একই কথা “ভালই”। আর কিছুই সে বলত না। তো একদিন যথারীতি পরীক্ষা শেষে মা জিজ্ঞেস করলেন পরীক্ষার কথা। 
নীলস বোর সাথে সাথে তার পরীক্ষার খাতা বের করে বলল “প্রতিদিনই তুমি একই কথা জিজ্ঞেস করো,তাই আজ খাতা নিয়ে আসলাম, এবার দেখ আমি কেমন পরীক্ষা দেই !
একবার ব্রিটিশ পুলিশ এক চোরকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল যার চেহারার সাথে তখনকার প্রধানমন্ত্রী জন মেজরের চেহারার অনেক মিল ছিল। পুলিশ চোরের ছবি দিয়ে ধরিয়ে দিন বিজ্ঞাপনও ছাপিয়েছিল।
কিন্তু লোকে জন মেজরকেই চোর ভেবে ভুল করতে পারে ভেবে তারা বিজ্ঞাপনের নিচে বড় করে লিখো দিয়েছিলো-“প্রধানমন্ত্রী নন”।
মার্কিন ধনকুবের এন্ড্রু কার্নেগী ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে বড় ধনকুবের । তিনি ছিলেন বস্তির ছেলে ।তাঁর বয়স যখন ১২বছর তখন খেলার জন্য একবার তিনি পাবলিক পার্কে ঢুকতে যাচ্ছিলেন।কিন্তু তাঁর পোশাক এত মলিন ও নোংরা ছিল যে ,সেই পার্কের দারোয়ান তাকে পার্কে প্রবেশ করতে দেয়নি । সেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, একদিন তার টাকা হবে আর তিনি এই পার্কটি কিনে ফেলবেন । ধনকুবের হওয়ার পর কার্নেগী ঐ পার্কটিই কিনেছিলেন এবং পার্কে নতুন একটি সাইনবোর্ডও লাগিয়েছিলেন । তাতে লেখা ছিল, “ আজ থেকে দিনে বা রাতে যে কোন সময়ে যে কোন মানুষ যে কোন পোশাকে এই পার্কে প্রবেশ করতে পারবে।”
গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল।শোনা গেল স্কুল পরিদর্শন করতে আসছেন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক এবং খাদ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।স্কুলের সভা শেষ করে দুই মন্ত্রী কর্মক্লান্ত হয়ে ডাকবাংলোয় ফিরছিলেন।তাঁদের সঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং স্হানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।এমন সময় কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের পথ আগলে দাঁড়ালো একটি হ্যাংলা পাতলা গড়নের ছেলে ।তার দাবি,তারা …যে হোস্টেলে থাকে ‌সেখানে ছাদ ফেটে গেছে।ফলে বর্ষার পানি পড়ে বিছানাপত্র নষ্ট হয়।ফাটা ছাদ মেরামত করে দিতে হবে।ছেলেটির সাহস দেখে তো প্রধান শিক্ষক ভড়কে গেলেন।তাঁর স্কুলের ছেলেরা স্বয়ং মূখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেয়াদবী করছে।না জানি এ অপরাধের কী শাস্তি হবে ।কিন্তু ছেলেটির সহস দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন শেরে বাংলা।তিনি এগিয়ে এসে হেসে বললেন, “তার আমি কী করব?”ছেলেটি দৃঢ় স্বরে বলল, “মেরামত করে না দিলে পথ ছাড়ব না”।“বেশ,কত টাকা লাগবে মেরামত করতে?” “১২০০ টাকা”।শেরে বাংলা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর স্বেচ্ছা তহবিল থেকে দাবি মতো ১২০০ টাকা মন্জুর করলেন।ডাক বাংলোতে গিয়ে শেরে বাংলা এবং সোহরাওয়ার্দী ডেকে পাঠালেন কিশোর ছেলেটিকে।আর সাহসিকতার জন্য তাকে বানালেন নিজেদের রাজনৈতিক শিষ্য।আর এভাবেই ঐ কিশোর ছেলেটি হয়ে উঠলো আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।
এক জনসভায় চার্চিলের বক্তৃতা শুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক মহিলা বিরক্ত হয়ে বলে ফেললেন-’যদি আপনি আমার স্বামী হতেন,তাহলে আমি আপনাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতাম।’
চার্চিল একথা শুনতে পেয়ে তার দিকে ফিরে হেসে বললেন- “ম্যাডাম ! সেক্ষেত্রে আপনি আমার স্ত্রী হলে আমি নিজেই বিষ খেয়ে মরে যেতাম!”
চিত্রশিল্পী হুইসলারের খুবই আদরের একটা পোষা কুকুর ছিল। একবার সে কুকুরের গলায় ঘা দেখা দেয়ায় হুইসলার সে সময়কার নামকরা গলার ডাক্তার ম্যাকেঞ্জিকে ডেকে আনলেন। ম্যাকেঞ্জি কুকুরের চিকিৎসা করতে হবে দেখে মনে মনে রেগে গেলেন। কিন্তু মুখে কিছু বললেন না। যথারীতি কয়েকটা ঔষধ লিখে দিয়ে ম্যাকেঞ্জি বিদায় নিলেন। পরেরদিন ম্যাকেঞ্জি হুইসলারকে তাঁর চেম্বারে ডেকে পাঠালেন। হুইসলার ভাবলেন হয়তো তাঁর কুকুরের ব্যপারে ম্যাকেঞ্জি কথা বলার জন্য ডেকেছেন। হুইসলার ফুরফুরে মেজাজেই ম্যাকেঞ্জির চেম্বারে গেলেন। ম্যাকেঞ্জি হুইসলারের কুশলাদি জিজ্ঞেস করার পর বললেন-’আমার ঘরের সদর দরজার রঙটা একটু চটে গেছে। ওটা একটু রং করতে হবে। আর সেজন্যেই আপনাকে ডেকেছি!’

পোষ্টটি লিখেছেন:  Ador

in fb- Facebook

No comments:

Post a Comment

visite