১. পরীক্ষার খাতায় সব তথ্য ঠান্ডা
মাথায় পূরণ করবে। তাড়াহুড়ো করবে না। সঠিকভাবে রোল নাম্বার, রেজিস্ট্রেশন
নাম্বার, বিষয় কোডসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করবে। মনে
রাখবে, এসব তথ্য ভুল হলে রেজাল্ট স্থগিত হয়ে যাবে। তারপরও যদি কোনোরকম ভুল
হয়ে যায় তাহলে সাথে সাথে হল পরিদর্শকের অথবা গার্ডের সহায়তা নেবে।
২. উপস্থিতির খাতায় স্বাক্ষর দিতে ভুল করবে না।
৩. উত্তর লেখা শুরু করার আগে সম্পূর্ণ
প্রশ্নটি অবশ্যই ভালোভাবে পড়ে নেবে। ভালো ও আকর্ষণীয় প্রশ্নের উত্তর
প্রথমে দেয়া উচিত। প্রশ্নোত্তরের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।
৪. হাতের লেখা সুন্দর ও স্পষ্ট হওয়া
উচিত। তবে সেই সাথে দ্রুত লেখার অভ্যাস করতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর না
হলেও তা যেন স্পষ্ট আর পরিচ্ছন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। লেখার সময় অযথা
কাটাকাটি বা ঘষামাজা করবে না। কোনো শব্দ বা লাইন কাটতে হলে এক লাইনে এক
টানে কেটে দেবে।
৫. প্রতিটি বিষয়ে প্রতিটি প্রশ্নের
পেছনে কতটুকু সময় ব্যয় করবে তা আগেই হিসাব করে নেবে। বড় ও ছোট প্রশ্নের
জন্য কমবেশি সময় হিসাব করে রাখবে। একই প্রশ্নের উত্তর অনেক বেশি লিখলে
তাতে নাম্বার বেশি পাওয়া যায় না। শুধু শুধু সময় বেশি খরচ হয়ে যায়। তখন
দেখা যাবে সময়ের অভাবে দুএকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছ না।
৬. উত্তরপত্র জমা দেয়ার অন্তত দশ মিনিট আগে লেখা শেষ করবে। তারপর রোল রেজিস্ট্রেশন নাম্বারসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখে নেবে।
৭. সম্পূর্ণ খাতাটি একবার রিভিশন দেবে।
৮. পরীক্ষার হলে কোনোভাবেই টেনশন করা
যাবে না। অত্যন্ত ধৈর্য ধরে শান্তভাবে পরীক্ষা দিতে হবে। তা না হলে
ভালোভাবে জানা প্রশ্নের উত্তরও এলোমেলো হয়ে যাবে।
৯. পরীক্ষার হলে নকল করা সবচেয়ে গুরুতর
অপরাধ। নিজে নকল না করেও অনেক সময় নকলের শিকার হতে হয়। সে কারণে পরীক্ষা
শুরু হওয়ার আগে বেঞ্চের নিচে বা আশপাশে কোনো কাগজ পড়ে আছে কিনা দেখে
নেবে। থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শকের নজরে আনবে।
১০. পরীক্ষা চলাকালে পাশের পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকবে।
উৎস : ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment