শিবিরের কর্মীদের
এলোপাতাড়ি লাঠিপেটার একপর্যায়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন পুলিশের এক সদস্য।
সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ার পরও তাঁকে পেটাচ্ছেন শিবিরের কর্মীরা। নারায়ণগঞ্জ শহরের
চাষাঢ়া এলাকায় গতকাল সকালে পুলিশের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। ছবিটি ভিডিও
থেকে নেওয়া
ছবি: প্রথম আলো
মানবতাবিরোধী
অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে দিয়ে আটক
নেতাদের মুক্তি না দিলে হরতালের চেয়েও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছে
জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির নেতারা এই হুমকি দেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল ১০টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন-ফকিরাপুল-আরামবাগ হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত যান। সেখানে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। মিছিল শুরুর আগে নয়াপল্টন এলাকায় পর পর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জামায়াত-শিবিরের মিছিলের সময় ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল। তবে মিছিলে কোনো বাধা দেয়নি তারা। মতিঝিল বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত-শিবির শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছে। তারা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়নি। তাই বাধা দেওয়া হয়নি।
মিছিল শেষে সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য সেলিম উদ্দীন পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এত দিন পর পুলিশের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন, আজ তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।’ অবিলম্বে ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াতের নেতাদের মুক্তি না দিলে হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন তিনি।
দলীয় সূত্র জানায়, গতকালের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে প্রতিবাদে কাল সোমবার সারা দেশে হরতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল জামায়াতের। কিন্তু সে রকম কিছু না হওয়ায় সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। ওইদিন ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে সকাল ১০টায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
গতকাল এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান ‘সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব, দলের নেতাদের মুক্তি ও বগুড়ায় জামায়াত-শিবির কর্মীদের হত্যার’ প্রতিবাদে নতুন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, কাল সোমবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে আবার হরতাল দিতে পারে জামায়াত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের দুই নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সম্ভাব্য রায়কে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দলটি।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির নেতারা এই হুমকি দেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকাল ১০টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন-ফকিরাপুল-আরামবাগ হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত যান। সেখানে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। মিছিল শুরুর আগে নয়াপল্টন এলাকায় পর পর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জামায়াত-শিবিরের মিছিলের সময় ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন ছিল। তবে মিছিলে কোনো বাধা দেয়নি তারা। মতিঝিল বিভাগের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত-শিবির শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছে। তারা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়নি। তাই বাধা দেওয়া হয়নি।
মিছিল শেষে সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য সেলিম উদ্দীন পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এত দিন পর পুলিশের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন, আজ তা আবার প্রমাণিত হয়েছে।’ অবিলম্বে ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জামায়াতের নেতাদের মুক্তি না দিলে হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন তিনি।
দলীয় সূত্র জানায়, গতকালের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে প্রতিবাদে কাল সোমবার সারা দেশে হরতাল ঘোষণার সিদ্ধান্ত ছিল জামায়াতের। কিন্তু সে রকম কিছু না হওয়ায় সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। ওইদিন ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে সকাল ১০টায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
গতকাল এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খান ‘সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব, দলের নেতাদের মুক্তি ও বগুড়ায় জামায়াত-শিবির কর্মীদের হত্যার’ প্রতিবাদে নতুন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে লাগাতার হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, কাল সোমবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে আবার হরতাল দিতে পারে জামায়াত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের দুই নেতা আবদুল কাদের মোল্লা ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার সম্ভাব্য রায়কে কেন্দ্র করে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দলটি।
No comments:
Post a Comment